ইনানী থেকে পাচার হচ্ছে ঝিনুক ও শামুক: রয়েছে সিন্ডিকেট

বিশেষ প্রতিবেদক •

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বিশ্বের দরবারে সৌন্দর্য্যরে বেলাভূমি হিসেবে পরিচিত। এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সৌন্দর্য্য বর্ধনে অন্যতম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সৈকতের শামুক ও ঝিনুকগুলো।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে দেশের সর্বদক্ষিণ উপজেলা টেকনাফ পর্যন্ত বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট জুড়ে গড়ে উঠেছে শামুক ও ঝিনুক ব্যবসায়ীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সিন্ডিকেট। তার মধ্যে অন্যতম স্পট কলাতলী, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটোয়ার টেক, শামলাপুর, টেকনাফ এলাকা থেকে নিয়মিত শামুক ঝিনুক আহরণ করা হচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রের ভাঙ্গন, জীব বৈচিত্র নিধন সহ পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, টেকনাফের সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন সহ দেশের ৭টি এলাকাকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে ১৯৯৫ইং সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ইং পাস করেন।

উক্ত আইন প্রণয়নের পর হইতে অবৈধভাবে শামুক ও ঝিনুক আহরণ কিছুটা বন্ধ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকের মৌসুমকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে একটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে শামুক ও ঝিনুক আহরণ করা। উক্ত সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা শ্রমিকদের অগ্রিম টাকা দিয়ে শামুক ঝিনুক আহরণ পূর্বক ট্রাক, পিকআপ ও চান্দের গাড়ী সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। এভাবে শামুক ও ঝিনুক আহরণ অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় সহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল ধারণা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ইনানী ও পাটুয়ারটেক এলাকার আব্দুর রহিমের পুত্র রশিদ উল্লাহ,জসিম উদ্দিনের পুত্র আলামিন, নুর মোহাম্মদের পুত্র আয়াস উদ্দিন, মোফাচ্ছেল এর পুত্র রুবেল সহ ৮/১০ জনের একটি সিন্ডিকেট পরিবেশ সংরক্ষণ আইনকে তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে শামুক ঝিনুক পাচার করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এই শামুক ও ঝিনুক ব্যবসার আড়ালে বস্তার ভেতর দিয়ে আরও বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে অনেকে ধারণা করেন।

এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট ছোট শিশু ও মহিলাদের দিয়ে শামুক ঝিনুক উত্তোলন করা হচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পাচারকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে নিয়মিত শামুক ঝিনুক আহরণ করে থাকে।

এভাবে শামকু ঝিনুক আহরণ চলতে থাকলে হুমকির সম্মুখীন হবে বলে এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানান।

এব্যাপারে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।